ভানুময় চন্দ ( ত্রিপুরা ) : নেশা সামগ্রী উদ্ধার করতে গিয়ে নেশা মাফিয়ার হাতেই গুরুতর জখম এক গোয়েন্দা শাখার কর্মী। উত্তর ত্রিপুরা জেলার চুড়াইবাড়ি থানার লক্ষীনগর এলাকায় ঘটে এই ঘটনাটি।
ঘটনাস্থলের ছুটে গিয়েছেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। বর্তমানে গুরুতর আহত গোয়েন্দা শাখার কর্মী জিয়েম উদ্দিনকে কদমতলা হাসপাতাল থেকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার বিবরণে জানা যায়, লক্ষীনগর সুলেমান আলীর বাড়িতে নেশা সামগ্রী লেনদেন করা হবে বলে গোপন খবরের ভিত্তিতে আগে থেকেই তিনজন গোয়েন্দা শাখার কর্মী ওৎ পেতে বসে থাকে। তখন থেকে প্রায় ঘন্টা খানেক পর ৮-১০ জনের একটি নেশা মাফিয়ার দল স্থানীয় সুলেমান আলীর বাড়িতে জড়ো হয়। নেশা কারবারিদের আছ বুঝতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান গোয়েন্দা শাখার কর্মী জিয়েম উদ্দিন, সত্যেন্দ্র নাথ এবং মহেন্দ্রনাথ। সঙ্গে সঙ্গে নেশা মাফিয়া সিহাব উদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে জিয়েম উদ্দিনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।ছুরির আঘাতে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জিয়েম উদ্দিন।অন্য দু'জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করলে তৎক্ষণাৎ চুড়াইবাড়ি থানার ওসি বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তাতে অবশ্য প্রাণে বাঁচেন ওই তিন গোয়েন্দা কর্মী।বিশাল পুলিশবাহিনী দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নেশা মাফিয়ারা গা-ঢাকা দেয়।তখন থানার অন্য কর্মীরা মাটিতে পড়ে থাকা রক্তালুপ্ত জিয়েম সহ অন্যান্য দুই গোয়েন্দা কর্মীকে কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জিয়েম উদ্দিনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় জেলা হাসপাতাল ধর্মনগরে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানে তার উন্নত চিকিৎসা চলছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে ২৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে চুড়াইবাড়ি থানার পুলিশ। জানা যায় এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সুলেমান আলি(৩২) পিতা শফিক উদ্দিন বাড়ি লক্ষীনগর গ্রামের ২নং ওয়ার্ডে এবং সিহাব উদ্দিন(৩০) পিতা রুস্তম আলী বাড়ি পূর্ব ফুলবাড়ি গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডে। অপরজন মিটন মিয়া। এই তিন নেশা মাফিয়ার নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে কাউকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি।